প্রকাশিত: ১১/০৪/২০১৭ ৬:৪৪ এএম

এ.এম হোবাইব সজীব::
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তরনলবিলা- মাতারবাড়ী সংযোগ সড়কে মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাতদল যাত্রীবাহী  সিএনজি ও ম্যাজিক গাড়ীতে হানা দিয়ে ডাকাতি সংগঠিত করেছে । জানা গেছে, ডাকাতিকালে বদরখালী ফেরিঘাট থেকে মাতারবাড়ী গামী যাত্রীবাহি গাড়ী থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে ৭টি মোবাইল সেট নগদ বিশ হাজার টাকাসহ মূল্যবান জিনিস পত্র ছিনেয়ে নিয়েছে ডাকাতদল। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে ডাকাতি সংগঠতি হয়েছে।

ডাকাত কবলিত লোকজন জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের কাগতিয়া দরবার শরীফ থেকে ম্যাজিক গাড়ী  করে বাড়ী ফিরের পথে চালিয়াতলী মাতারবাড়ী সংযোগ সড়কের ধারাখাল ব্রীজে একদল ডাকাতদল সড়কে ব্যারিকেড় দিয়ে ম্যাজিক গাড়ী গতিরোধ করে  সংগঠিত করে।

ডাকাতির কবলে পড়া মাতার বাড়ী দক্ষিণ রাজঘাটের ইশতিহাদুল ইসলাম ও কাইসার বলেন, ডাকাতরা সংখ্যায় নগন্য হলেও নানা কারনে তাদের সাথে পেরে উঠছেনা ঐ সড়কের যাতায়াত কারীরা ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মহেশখালীতে স্থল পথের যাতায়তের প্রবেশদ্ধার কালারমারছড়া উত্তরনরবিলা-চালিয়াতলী গ্রাম। এছাড়া প্রশাসনিক জনসচেতনার অভাবে দুই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়াতে অসহায় ভূক্ত ভোগীরা ঘনঘন ডাকাতির শিকারে আক্রান্ত হচ্ছে। ভূক্ত ভোগী এবং স্থানিয় মানুষেদের সাথে কথা বলে হলে তারা ডাকাত প্রবণ এলাকায় স্থায়ী ভাবে যদি একটি পুলিশ বক্স স্থাপন করা হয় তা হলে ডাকাতি থামানো যাবে। জানা গেছে, নানা সময়ে উপজেলার শাপলাপুর ষাইটমারা, উত্তরনরবিলা-মাতারবাড়ী সংযোগ সড়কে বছরের পর বছর ধরে ডাকাতির ঘটনা ঘটলে ও এই নিয়ে প্রশাসনের কোন মাথা ব্যাথা ছিল না।

তবে সম্প্রতি মহেশখালী থানার নবাগত দুঃসাহসিক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ (পিপি এম বার) যোগদানের পর থেকে উপজেলা বিভিন্ন এলাকা অভিযান চালিয়ে  ২ ডজনের বেশি অবৈধ অস্ত্র ও দাগী ডাকাতদের গ্রেফতার করায় জনমনে স্বস্থি ফিরে এসেছে। তবে সুযোগ বুঝে ফের আবার ডাকাত দল ডাকাতি শুরু করেছে। স্থানিয় লোকজন নবাগত ওসির দুঃসাহসিক অভিযানের মাধ্যমে ডাকাতদের আটক করতে সক্ষম হবে বলে স্বপ্ন দেখছেন ভিন্নভাবে।

অন্যদিকে কালারমারছড়া পুলিশ ক্যাম্প থাকলে ও কোন প্রকার এ্যাকসেন না নেওয়ার অভিযোগ তোলেন ডাকাতির শিকার লোকজন। স্থানিয়রা জানিয়েছেন, পুলিশের স্থায়ি ভাবে চৌকি বসানো না হলে এ ডাকাতি থামানো যাবে না। মাতারবাড়ী  ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মাষ্টার মোঃ উল্লাহ বলেন, উক্ত এলাকার বেশ কিছু প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় উঠতি প্রজন্মের কিছু যুবক ডাকাতির মত জঘন্যতম ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে আমি এব্যাপারে শুনি নাই। তিনি আরোও বলেন মহেশখালীর থানার নবাগত ওসি থাকলে ডাকাতি করার সুযোগ নাই। কারণ তিনি ডাকাতদের কঠোর হস্তে দমন করতেছেন। অনেক ডাকাত স্বাভাকি জীবনে ফিরে আসতেছেন ওসি ভয়ে।

মহেশখালী থানার নবাগত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ দৈনিক আমাদের কক্সবাজারকে বলেন, আমি এব্যাপারে শুনি নাই, কোউ অভিযোগও করে নাই। তবে যেখানে ডাকাতি হবে সেখানে খোঁজ খবর নিয়ে ডাকাতদের আটক করতে পুলিশ অভিযান চালাবে। ডাকাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানান ওসি। ###

পাঠকের মতামত

জামিনে মুক্তি পেলেন উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন, গ্রামে আনন্দের বন্যা

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার ...

কক্সবাজার জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প থেকে ৪৪০৯ জনের নাম বাতিল

কক্সবাজারে জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্পে (খুরুশকুল) পুনর্বাসনের চার হাজার ৪০৯ জনের তালিকা বাতিল করা হয়েছে। ...